Header Ads

Header ADS

ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং (Digital Content Writing)

ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং (Digital Content Writing)

অনলাইন-ভিত্তিক বা কোন ডিজিটাল মাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং করাকেই ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং বলা হয়। প্রডাক্ট রিভিউ,নিজের ওয়েবসাইট,পত্রিকা, ব্লগ-সাইট ,স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক কোন ক্লায়েন্টের জন্য নানাভাবে ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

কনটেন্ট কি? (What is Content?)

কোন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনকেই কনটেন্ট বলা হয়।প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দেখে, শুনে কিংবা পড়ে থাকি। যেমন-আমরা যখন বই পড়ি আমাদের বইয়ের লেখাগুলো হচ্ছে কনটেন্ট;আমরা যখন পত্রিকা পড়ি পত্রিকার লেখাগুলো হচ্ছে কনটেন্ট; আমরা যখন রেডিওতে কোন অনুষ্ঠান শুনি সেটি এক ধরনের কনটেন্ট। অনুরূপভাবে আমরা টিভিতে যে সব প্রোগ্রাম দেখি সেই প্রোগ্রামগুলোও কনটেন্ট।

ডিজিটাল কনটেন্ট(Digital Content)

কোন কনটেন্ট যদি অনলাইনে বা ডিজিটাল উপাত্ত আকারে বিরাজ করে, প্রকাশিত হয়, কিংবা প্রেরিত বা গৃহীত হয় তাহলে তাকে ডিজিটাল কনটেন্ট বলে । যেমন-এখন আপনি ফেসবুকে যে পোস্টটি পড়ছেন এটি এক ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট।ইউটিউবে দেখা ভিডিও এক ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট ।



ডিজিটাল কনটেন্টের প্রকারভেদ(Classification 0f Content Writing)

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো তথ্য ছবি শব্দকে কিংবা সবই ডিজিটাল কনটেন্ট। কাজেই নানাভাবে ডিজিটাল কনটেন্ট কে শ্রেণীবিভাগ করা যায় তবে যে ডিজিটাল কনটেন্ট কে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায় এগুলো হলোঃ

১.টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট

২.ছবি

৩.শব্দ বা অডিও

৪.ভিডিও এনিমেশন

১.টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট (Text Content)

কোন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যখন টেক্সট বা লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট বলা হয়।বর্তমানে লিখিত তত্ত্বের পরিমাণই বেশি সব ধরনের লিখিত তথ্য এই ধারার কনটেন্ট এর মধ্যে রয়েছে।নিবন্ধ ব্লগ পোস্ট পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা পণ্যের মূল্যায়ন ই-বুক অনলাইন সংবাদপত্র শ্বেতপত্র ইত্যাদি।


২.ইমেজ কনটেন্ট (Image Content)

যখন কোনও বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় বা উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে ছবি বা পিকচার কনটেন্ট বলা হয়। সব ধরনের ছবি, ক্যামেরায় তোলা ছবি, হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে সৃষ্ট সকল ধরনের ছবি এই ধারার কনটেন্ট এর মধ্যে পড়ে। হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কন করণ কার্টুন ইনফো-গ্রাফিক্স এ্যানিমেটেড ছবি ইত্যাদি ইমেজ কন্টেন্টের উদাহরণ।

৩.শব্দ বা অডিও কনটেন্ট (Audio Content)

যখন কোন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শব্দ বা অডিও এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে শব্দ বা অডিও কনটেন্ট বলে।শব্দ বা অডিও এর সকল কনটেন্ট এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো বিষয়ে অডিও ফাইল, ই - অডিও কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্টও অডিও কন্টেন্টের অন্তর্ভুক্ত।


৪. ভিডিও এনিমেশন (Vedio Content)

যখন কোন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভিডিও এনিমেশন এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে ভিডিও কনটেন্ট বলে.। বর্তমানে মোবাইল ফোনে ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্ট এর পরিমাণ বাড়ছে। ইউটিউব  ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণেও ইন্টারনেটের বিভিন্ন কন্টেন্ট এর পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।বর্তমানে ইন্টারনেটে কোনও ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচার হয়ে থাকে একে ভিডিও স্ট্রিমিং বলা হয় এমন কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্ট এর আওতাভুক্ত ।


ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব (Importance of Digital Content Writing )

ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব অপরিসীম ।বর্তমান বিশ্বকে আরও উন্নত করতে বা চলমান বিশ্বের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে ডিজিটাল কনটেন্ট এর বিকল্প নেই। নিচে ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব বর্ণনা করা হলও

 

·       ডিজিটাল কনটেন্ট এর ফলে শিক্ষাদান পদ্ধতির যেমন উন্নতি ঘটেছে তেমনি শিক্ষণ আনন্দময় ও সহজ হয়েছে ।

·       শিক্ষার নানা রকম তথ্য উপাত্ত খুব সহজেই শ্রেণীকক্ষে বসে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারছে।

·       শ্রেণীকক্ষের বাইরে অর্থাৎ যখন ইচ্ছা এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানে বসেই শিখতে পারছে।

·       শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞান  চর্চা করার সুযোগ পাচ্ছে।

 ডিজিটাল ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং এর সুবিধা

·     ডিজিটাল কনটেন্ট সকলের জন্য বোধগম্য

·     কনটেন্ট ডিজিটাল করার ফলে তা আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন হয়।

·     সস্তা বা বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় ।

·     ডিজিটাল কনটেন্ট সহজে বহন ও সংরক্ষণ করা যায়।

·     ডিজিটাল কনটেন্ট স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায় ।

·     ডিজিটাল কনটেন্ট ইচ্ছামত সম্পাদনা করা যায়।

·     একই কনটেন্ট বারবার ব্যবহার করা যায় ।

 

কনটেন্ট রাইটার (Content Writer)

কোন ব্যক্তি যখন নিজের জ্ঞান বুদ্ধি অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে কোন বিষয়ের উপর সুন্দর একটি কনটেন্ট তৈরি করেন এবং তা থেকে কিছু তথ্য জানতে পারা যায় তখন যে ব্যক্তি এই লিখনি লিখছেন তাকে বলা হয় কনটেন্ট রাইটার।

একজন কনটেন্ট রাইটার এর জ্ঞান ও দক্ষতা

বাংলায় লিখতে চাইলে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ এর উপর ভালো জ্ঞান থাকতে হবে ইংরেজিতে লিখতে চাইলে ইংরেজি ভাষা ও ব্যাকরণ এর উপর ভালো থাকতে হবে

·     যেকোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করার দক্ষতা থাকতে হবে।

·     প্রাঞ্জল ভাষায় বা সহজেই বোঝা যায় এমন ভাবে লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে

·     লেখার ভিতর বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারতে হবে ।

·     সঠিক বানান এই দ্রুত লেখার অভ্যাস থাকতে হবে।

ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিং

আপনি ডিজিটাল কন্টেন্ট রাইটিং এর দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ফুল-টাইম বা খন্ডকালীন বা একজন ফ্রিল্যান্সার কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। upwork.com,freelancer.com , fiber.com এবং Flexjobs.com এর মত ওয়েবসাইটগুলোতে ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং এর ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক কাজ রয়েছে ।এছাড়াও Glassdoor.com এবং Indeed.com এর মত পোর্টালগুলোতে আপনি ফুল-টাইম চাকরি খুঁজে পাবেন।আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শিখে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, ব্লগ, ম্যাগাজিন লিখে ফিল্যান্সিং করতে পারেন;আপনি নিজস্ব কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে  লিখে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং

আমরা জানি ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং পণ্য বা ব্র্যান্ড প্রমোটের একটি সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম।আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন তখন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়াগুলো সম্পাদন করা আপনার জন্য সহজ হবে । ডিজিটাল মার্কেটিং এ পণ্য বা ব্র্যান্ডগুলোকে ইউজারদের কাছে সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য এসইও কনটেন্ট লিখতে হয়। এইজন্য স্থান-ভিত্তিক সর্বাধিক সংখ্যক সন্ধান করা হয়েছে এরকম নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে সার্চ করতে হয়।আপনি যখন ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং শিখবেন তখন কিভাবে keyword  সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শেখানো হয়।যেমন আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেন তাহলে আপনি যে জিনিসগুলো শিখবেন তার মধ্যে একটি হলো অন-পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO.অনুরূপভাবে আপনি যখন ডিজিটাল কনটেন্ট লেখা শিখবেন তখন কন্টেনড লেখার দক্ষতা কে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ খুব সহজে কাজে লাগাতে পারবেন

শেষ কথা

ইন্টারনেটে কনটেন্টের বহুমুখী চাহিদার কারণে ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জব ইন্ডাস্ট্রিগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে। অনলাইনে নির্ভুল তথ্য ও পরিসংখ্যান সহকারী কোন পণ্য বা ব্রান্ডকে প্রমোট এর প্রধান মাধ্যম হলো ডিজিটাল কনটেন্ট। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটিংয়ের চাহিদা প্রচুর।বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজকাল এটিকে একটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা মূলক কোর্স হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ।



কোন মন্তব্য নেই

Thank You so much.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.